ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাংবাদিকদের হেনস্থা করে উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই জিডি করা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা শহিদুল ইসলাম খান রিয়াদকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার রায়সাহেব বাজার এলাকা থেকে রিয়াদসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে রিয়াদ ও খোকন নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে তল্লাশি করে চার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গেণ্ডারিয়া এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজি, ডেইলি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নূরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও দিন প্রতিদিনের রিপোর্টার পাপনকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ ও তার সহযোগীরা।
পরে উল্টো তিন সাংবাদিকের নামেই গেণ্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিয়াদ। জিডিতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রিয়াদ অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ‘বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেন।’ পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে’ রিয়াদকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা গেছে, মতিঝিল থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্র কেনা-বেচার সময় নাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন নোমান নামে দু’জনকে বিদেশি অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করলে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে রিয়াদ একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতেও বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ এবং কামরুল ইসলাম তাদের অস্ত্র বিক্রির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর রিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াদ শুধু অস্ত্র ব্যবসা নয়, তিনি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। ওয়ারী ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
Leave a reply