কুমিল্লা ব্যুরো
কুমিল্লায় মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। আটক হওয়া রোহিঙ্গার মধ্যে একজন নারী রয়েছে। জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
সোমবার কুমিল্লা র্যাব ১১-সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চৌদ্দগ্রামের ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় বিশেষ অভিযানের গ্রেফতার হওয়া মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্ম সনদ, কাগজপত্র, এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়। যা ওই পাচারকারী চক্র তৈরি করে তার মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রস্তুত করে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
পাচারকারী তিন সদস্য হলো, উপজেলার কাপড় চতলী এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো.আব্দুর রহিম রুবেল (২৫), ফজলুল হকের ছেলে নূরুল হক (২৯) এবং ডিমাতলী এলাকার মো.কামাল উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহাম্মেদ রনি (৩২)।
তাদের জিম্মা হতে তিনজন মায়ানমার নাগরিককে (রোহিঙ্গা) উদ্ধার করা হয়। রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক নারী এবং দুইজন পুরুষ। তারা হলেন, ২০১৭ সালে আগত বালুখালী পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী, একই বছর আগত ট্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন (২৫) এবং ২০১৩ সালে আগত কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সি/৩ এর মোঃ হাকিম শরিফ ছেলে মো. রফিক (৩৭)।
কুমিল্লার র্যাব ১১-সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরো বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আসে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a reply