গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকায় তিন তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে আব্দুর রহমান নামে এক যুবকের ঝলসানো গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, মাস খানেক আগে তিন তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট সামিরা ও আব্দুর মজিদ ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর তারা দুজনই বসবাস করে আসছিল। চার-পাঁচদিন যাবত ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় সোমবার বিকেলে মইয়ের সাহায্যে বারান্দা দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতর তোষকে মোড়ানো মরদেহ সদৃশ্য বস্তু দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙ্গে ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশে ভেতর না ঢুকে ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিট ও গাজীপুর সিআইডিকে খবর দেয়া হয়। পরে গাজীপুর থেকে সিআইডি পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে, ঢাকা থেকে আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল, র্যাব-১ গাজীপুরের ডিএডি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম সহ একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে তোষকে মোড়ানো গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মোঃ আমিনুল রহমান খান জানান, তোষকে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তোষক খুলে দুটি চটের বস্তায় ভরা ও রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। পরে রশি কেটে দেখা যায় মরদেহটি সমস্ত শরীর ঝলসানো এবং গলা অর্ধেকেরও বেশি অংশ কাটা। মরদেহটিতে পোকা ধরা ও ঝলসানো থাকায় তা শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কি দিয়ে মরদেহটি ঝলসানো হয়েছে তার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার করে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, ফ্ল্যাটের কক্ষ থেকে তোষক, দুটি চটের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকতার হোসেন জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পুলিশের একাধিক টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।
Leave a reply