চীনের পর এবার করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮২ ব্যক্তি নভেল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর দায়েগুতে আড়াই লাখ মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে।
দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্প্রতি দায়েগুতে একটি গির্জায় সমাগতদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে শহরবাসীকে ঘর থেকে বের হতেই নিষেধ করেছেন শহরের মেয়র কওন ইয়ং-জিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বেশ ব্যস্ত শহর দায়েগু। শহরের রাস্তা-ঘাট, শপিংমল, সিনেমা হল সব সময়ই জনাকীর্ণ থাকে। আর সেই শহর এখন জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। সিনেমা হলেও কোনো দর্শনার্থী নেই। রাস্তা-ঘাটেও খুব বেশি একটা মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। শহরটির ২৫ লাখ বাসিন্দা এখন নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। একেবারে জরুরি না হলে কেউ বের হচ্ছেন না।
মেয়র কওন ইয়ং-জিন বলেছেন, চরম এক সংকটের মধ্যে পড়েছি আমরা। ওই দিন গীর্জায় সমাগত হওয়া অনেকের মধ্যেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তাই আমরা এই গীর্জায় যাতায়াতকারী সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছি। এজন্য সেসব আক্রান্তদের তাদের পরিবারদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতে বলেছি।
সম্প্রতি দায়েগু শহরের ওই গির্জায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একজন নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর আরও ৩৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন দ্যা গার্ডিয়ান।
Leave a reply