ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয়দিন শেষে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে, নাজমুল-মুমিনুলের অর্ধশতকে দিনশেষে ৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে টাইগাররা।
এদিন, দেশের প্রথম আর বিশ্বে ১৩ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১৩ হাজার রানের ক্লাবে ঢোকার অনন্য রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল।
প্রথম ইনিংসে ক্রিজে আসার পর থেকেই স্বচ্ছন্দে ব্যাট করে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি তুলে নিয়ে দিন শেষে ৭৯ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩২ রান করে তিনিও অপরাজিত আছেন দিন শেষে।
তৃতীয় দিন মুমিনুল-মুশফিকের দিকে তাকিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। দৃষ্টি থাকবে মোহাম্মদ মিঠুন ও লিটন দাসের প্রতিও। তারা সামর্থের প্রমাণ দিতে পারলে বড় ধরনের লিড পাবেন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।
তবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সূচনালগ্নেই ফিরে আসেন সাইফ হাসান। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান ভিক্টর নায়াউচি। পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। হঠাৎ ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ফেরার আগে ৭ চারে ৪১ রান করেন তিনি। তাতে শান্তর সঙ্গে ভাঙে ৭৮ রানের প্রতিরোধ গড়া জুটি।
এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে খেলা ধরেন শান্ত। কিন্তু আচমকা চার্লটন টিসুমার বলে উইকেটের পেছনে রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন বাঁহাতি শান্ত। ফেরার আগে ৭ চারে ৭১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।
জিম্বাবুয়েকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিনে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে টাইগাররা। প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন রেগিস চাকাভা ও ডোনাল্ড তিরিপানো। তবে নিজেদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে তুলতে পারেননি তারা। ভূমিকাতেই তিরিপানোকে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ রাহী। সেই জের না কাটতেই এন্সলে এনদিলোভুকে বিদায় করেন তিনি।
পরক্ষণেই চার্লটন টিসুমাকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ফলে অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের। কিন্তু তা দীর্ঘায়িত করেন চাকাভা। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়েই সেই শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন তাইজুল। সংগ্রামী চাকাভাবে ফিরিয়ে তাদের মুড়িয়ে দেন তিনি। জিম্বাবুইয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৩ চারে করেন ৩০ রান। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার নাঈম হাসান ও আবু জায়েদ। দুজনই শিকার করেন ৪টি করে উইকেট। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন তাইজুল। তিনি ঝুলিতে ভরেন ২ উইকেট।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে রান তোলার গতিটা ভালো ছিল না তাদের। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ২২৮ রান করে তারা। সেই পথে ক্যারিয়ারসেরা সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন প্রিন্স মাসভাউরে। অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেগ অরভিন। ১৩ চারে ১০৭ রান করেন তিনি।
Leave a reply