রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুতই শুরু হবে বলে আশাবাদী চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। দুই প্রতিবেশির সংকট এখনও দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধানের পক্ষে বেইজিং। সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে চীনের মধ্যস্থতায় ঢাকা-নেইপিদো বৈঠকের পর মিয়ানমারের আচরণ পাল্টেছে বলেও দাবি করলেন তিনি।
চীনের পরামর্শে রোহিঙ্গা সংকটের দ্বিপাক্ষিক সমাধানের অনেকটা পথে হাটে বাংলাদেশ। এরপর ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, দু-তিন দফা প্রত্যাবর্তন তারিখ ঠিক হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনায় কোন প্রস্তাব পাশ হয়নি জাতিসংঘে। এখানেও ফ্যাক্টর চীন-রাশিয়া। কেন এমন অবস্থান, বিশ্ব অর্থনীতির পরাশক্তি চীনের?
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন এসব বিষয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিতে পছন্দ করে না। এটা মিয়ানমারের সমস্যা। আর মানুষগুলো এখানে আসায় বাংলাদেশেরওও সমস্যা। কাজেই তারা আলাপ আলোচনা করে সেটি সমাধান সম্ভব।
গেল সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। তারপর বেইজিংয়ে আরেক দফা হয়েছে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। চীনের এসব উদ্যোগের ফল কী?
লি জিমিং বলেন, মিয়ানমারের আচরণ এখন অনেক ইতিবাচক। রাখাইনে নতুন করে বড় সহিংসতা হয়নি। সেখানে বাড়িঘর-স্কুল-হাসপাতাল বানানো হচ্ছে।এসব ছবি বাংলাদেশকে ও চীনকে মিয়ানমার দেখিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে শুরু হয়েছে মিয়ানমারের বিচার, আসছে সাধারণ নির্বাচন। এসব কারণেই কি আচরণ পাল্টাচ্ছে সু’চির সরকার?
লি জিমিং আরও বলেন, অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেক কিছু ঘটছে। নির্বাচন হয়তো একটা কারণ। আমরা দ্রুত প্রত্যাবাসন চাই এবং সেটি হবে বলেই বিশ্বাস।
প্রত্যাবাসন টেকসই হলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সমস্যারও সমাধান সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন এই কূটনীতিক।
Leave a reply