সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়: জয়নুল আবেদীন

|

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জামিন আবেদনের ওপর দেয়া আদেশে আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হবে। তার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালেই সম্ভব।

এদিকে, এই আদেশে সংক্ষুব্ধ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদেশের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় খালেদা জিয়া ২ বছরের অধিকাল কারগারে। এটি জামিনযোগ্য মামলা হলেও তাকে বেআইনিভাবে জেলে রেখেছেন। সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে ভয় পায়।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই তিনি হেঁটে হেঁটে জেলে গিয়েছিলেন। তিনি আইনি লড়াই বিশ্বাসী। তিনি আইনের মাধ্যমেই বের হয় আসতে চান। এজন্যই আমরা বারবার আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত এর আগে বিএসএমএমইউর রিপোর্টের ভিত্তিতে জাজমেন্ট দিয়েছেন যেটি পূর্ণাঙ্গ ছিল না।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালতের আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের সময় দেয়নি। তারা আমাদের রিপোর্টও দেখতে দেননি। বলেছেন আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে সেটি নিতে। আমরা বলেছি তখন এটি আমাদের আর প্রয়োজন হবে না। ওনারা বারবার আদেশ দিয়ে দিতে চাইছিলেন। তারপর যখন আদেশ পড়া শুরু করতে লাগলেন তখন আমরা ২টা পর্যন্ত সময় চাইলাম। পরে ২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানো প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বলেছি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত। আমরা মনে করি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি কনসিডারেশনে নেয়া উচিত ছিল। তারা তো এদেশেরই মানুষ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন নাকচ করেন আপিল বিভাগ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া দুই বছর ধরে কারাবন্দি। শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে গত বছরের এপ্রিলে চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply