ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার স্লোগান দেয়া, ‘না’ দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের অনুসারীদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে স্লোগান দেয়া, না দেয়াকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা চলছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিল নিয়ে রাজুর ভাস্কর্যে আসার পরে ইকবাল হোসেন শ্যামলের একজন অনুসারী স্লোগান দিলে বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিব তাদের স্লোগান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু রাকিবের কথা তারা না শুনে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ক্ষেপে যান রাকিব। পরে তিনি এ জন্য ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পরে রাজু ভাস্কর্যে কর্মসূচি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পায়রা চত্বরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে সেখানে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ডাকসু নির্বাচনে জিয়া হল সংসদের ভিপি প্রার্থী তারেক হাসান মামুনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিব।
একপর্যায়ে তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন রাকিব। এ সময় আহ্বায়কের থাপ্পড় নিয়ে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিবের অনুসারী ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে তারেক হাসান মামুন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তখন কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি পরে দেখবেন বলে জানান। তার কিছুক্ষণ পরে রাকিবুল হাসান রাকিব কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারেক হাসান মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মারধরের বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি সত্য নয়। আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। তেমন কিছু নয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, এটা ছোট একটি ঘটনা। সাথে সাথে মিটমাট হয়ে গেছে।
Leave a reply