নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ ও জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন (২৫) মারা গেছেন। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হাবিবসহ অপর ৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ঘটনায় চার জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের মৃত্যু হয়। নিহত রাকিব হোসেন আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড শিপন পাটোয়ারী বাড়ির সফি উল্যার ছেলে। সে আমান উল্যাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। অপর আহতরা হচ্ছেন, মো. হাবিব, রায়হান, মো. রনি ও মনু’সহ ৬ জন।
আটককৃত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হচ্ছেন, কৃষ্ণারামপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফারুক আহমদ (৪২), একই এলাকার নূর নবীর ছেলে মাসুদ আলম (৩০), রসুলপুর এলাকার তোফায়েল আহমদের ছেলে ইব্রাহিম (৩০) ও জয়নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে আকরাম হোসেন (২৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর সূত্রধরে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমান উল্যাহপুর বাজারে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এসময় একদল জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা বাজারে এসে তাদের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলবিদ্ধসহ ছাত্রলীগের অন্তত ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত রাকিব ও হাবিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সকালে তার অপারেশন হয়। রাকিবের কিডনি, লিভার ও পাকস্থলিতে গুলি লেগেছিল। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হাবিবকে ঢাকার হেলথ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত-শিবির নেতা পিয়াস ও নাছিরের নেতৃত্বে রাকিব, হাবিবসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করেছে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ চৌধুরী জানান, জামায়ত শিবিরের নেতাকর্মীরা আমান উল্যাহপুর বাজারে এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করেছে। সোমবার দুপুরে ঢামকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মারা গেছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনায় ৪ জামায়ত শিবিরের কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a reply