অফিসের পরিবেশ অনুকুলে না থাকলে প্রথমেই আমরা যে কথাটা ভাবি সেটা হলো চাকরি ছেড়ে দেয়ার কথা। কারণ হিসেবে অতিরিক্ত কাজের চাপ, অফিসের পলিসির সাথে নিজের সাথে খাপ না খাওয়া, বেতন নিয়ে ঝামেলাসহ অনেক কিছুই থাকতে পারে। তবে, এর আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরি ছাড়ার মতো পরিস্থিতি আদৌ তৈরি হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতে হবে।
সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মাথায় রাখুন এগুলো ঘটছে কিনা আপনার সাথে-
কাজ বা অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আর আগ্রহ আসে না।
সাপ্তাহিক ছুটি শেষে পরের দিনের কাজের কথা ভেবে আতঙ্কে ভোগেন।
কাজে মনোযোগ দেয়া কঠিন হয়ে যায় কিংবা কাজে ধীর গতি চলে আসে।
অফিসে সহকর্মীদের সাথে অফিসের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা হয়।
অফিসের যেকোনো প্রোগ্রাম বা মিটিংয়ে যদি কথা বলার সুযোগ থাকে থাকে না। অথবা কথা বলতে আপনি অনাগ্রহ বোধ করেন।
অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাব নষ্ট হয়ে গেলে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার সাথে ক্রমাগত ঘটতে থাকে তাহলে চাকরিটা ছেড়ে দেয়াই উত্তম। কারণ দিন যত পার হবে অফিসের প্রতি তিক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে ছাড়ার আগে আরও কিছু কারণ বিবেচনা করা উচিৎ। সেগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রূঢ় আচরণ, অপর্যাপ্ত বেতন, বেতন আটকে থাকা, সহকর্মীর সাথে মনোমালিন্য ইত্যাদি আপনার সাথে হচ্ছে কিনা। কিন্তু মাথায় রাখুন চাকরি ছাড়াই শেষ কথা নয়। এমনটাও হতে পারে যেসব কারণে আপনি চাকরি ছেড়ে দিলেন অন্য প্রতিষ্ঠানেও সেসব কারণ ঘটছে এবং এটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। অতএব, আবেগের বশবর্তী হয়ে চাকরি না ছেড়ে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়াই মঙ্গল।
Leave a reply