পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীতে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আইরিন আক্তার মুন্নি (২১) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে শহরের চৌরাস্তা এলাকার শরীফ হোসেন -সোনাবানু স্পেশালইজড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক রোগীর স্বজনরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হাসপাতালে ব্যপক ভাংচুর চালায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মৃত আইরিন শহরের চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা আলী আহমেদের স্ত্রী।
নিহত আইরিনের মা মাহিনুর বেগম জানান, পেটে ব্যাথা অনুভাব হলে বুধবার বিকাল ৩টা ২৪ মিনিটের সময় আইরিনকে শরীফ হোসেন -সোনাবানু স্পেশালইজড হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় মেয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও সেটা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ । আধাঘণ্টা পর ডাঃ নাসির উদ্দিন এসে কোন কথা না শুনেই আইরিনের শরীলে এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুষ করে। সন্ধ্যায় আইরিনের ব্যাখা আরো বেড়ে গেলে পুনরায় ওই ইনজেকশন দেয়া হয়।
পরে ওটি থেকে চিকিৎসক বের হয়ে জানায়, রোগীর অপারেশন হয়নি। অবস্থা ভালো না আপনারা বরিশাল নেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এরপর এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের সামনে আনলেও চিকিৎসকরা সময়ক্ষেপন শুরু করে। পরে মেয়ের জ্ঞান না ফেরায় তারা অক্সিজেনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি শরীরে লাগিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ১০ টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, আমার তিন বছরের নাতনী রয়েছে। আজ মেয়েকে হারিয়ে আমরা নি:স্ব। মেয়েটা এতিম হয়ে গেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। দোষী চিকিৎসকের ফাঁসি চাই।
এবিষয়ে চিকিৎসকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এটিএম নাসির উদ্দীন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চিকিৎসায় কোন ধরনের ত্রুটি থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদি হাসান জানান, লাশের সুরাতহাল করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে। আইনী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a reply