ক্যাসিনোকাণ্ড ও টেন্ডারবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের না জানাটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বলেন, জামিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই আইনে স্পষ্ট বলা আছে, জামিনের ব্যাপারে দুই পক্ষকে শুনতে (জানতে) হবে। এখানে যদি সেটার ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আর যদি ব্যত্যয় না হয়ে থাকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি যে বলেছিলেন তিনি জানতেন না, সেটার তদন্ত করা হবে।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতন আবাসিক এলাকার নিজ কার্যালয় থেকে বিপুল মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার হয় জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র ও মাদক আইনে করা দুটি মামলায় পৃথক আদালত থেকে জামিন পান তিনি। বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যখন টেলিভিশন স্ক্রলে এটা দেখেছি, আমি এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যাপারটা হয়েছে, একটা হয়েছে অস্ত্র মামলা, অস্ত্র মামলাটা যে আদালতে করা হয়েছে, এটা একটা আপিল করা হয়েছিল। আপিলে বেইল (জামিন) দেয়া হয়েছিল। তারপরও যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি নাকি অ্যাটর্নি জেনারেলকে কিছুই জানাননি। আমি আজকে খবরের কাগজে পড়েছি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান বলেছেন, তিনি বলেছেন জানতেন না।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কোনো গাফিলতি আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অবশ্য, জিকে শামীমকে অস্ত্র মামলায় দেয়া জামিন বাতিল ইতিমধ্যে বাতিল করেছেন বিচারপতি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে। এর আগে সকালে এই জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম এখন যে, ইতোমধ্যে এ জামিন বাতিল হয়েছে।
Leave a reply