প্রতিনিধি পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামে কনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুকে হাত-পা বেঁধে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মৃতের স্বজনসহ এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
রোববার সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে এ হত্যার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
একইদিন দুপুরে এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি স্বামী বশির মৃধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কনার পরিবার জানায়, সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজীখালী গ্রামে দরিদ্র প্রতিবন্ধী পিতা সিরাজ মৃধার মেয়ে কনার বিয়ে হয় উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ইসমাইল মৃধার ছেলে বশির মৃধার সাথে। কনা বশিরের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কনার উপর নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
কনার পরিবার জানায়, গত ২ মার্চ দুপুরের খাবার খেতে বসে রান্না খারাপের অজুহাত তুলে শ্বশুর ইসমাইল মৃধা পুত্রবধুকে বকাঝকা করে। এ সময়ে স্বামী বশির এসে তার পিতার সাথে মিলে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে রশি দিয়ে কনার হাত-পা বেঁধে নিজের মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বের করে এনে স্ত্রীর শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুস ধরিয়ে দেয় তারা। আগুনে রশি পুড়ে খুলে গেলে বাঁচার জন্য কনা চিৎকার দিতে দিতে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির মানুষ বের হয়ে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে কনা মারা যায়। গৃহবধু কনার মরদেহ শনিবার রাতে তার পিতার বাড়ি হাজীখালী গ্রামে নিয়ে আসা হয়। কনার দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
Leave a reply