বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগী। আজ রোববার আইইডিসিআর মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান। শঙ্কার বিষয় হলো আক্রান্ত তিনজনের দুইজন ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানারে তাদের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি ধরা পড়েনি বরং আক্রান্তদের তরফ থেকে তাদের উপসর্গ দেখে আইইডিসিআর’র হটলাইনে ফোন করে নিজেদের অসুস্থতার বিষয়টি জানানো হয়। তারপর আইইডিসিআর তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কিছুদিন আগে যমুনার অনুসন্ধানে উঠে আসে দেশের বন্দরগুলোর থার্মাল স্ক্যানারের এমন দুর্দশার কথা। অনুসন্ধানে দেশের ৪ বন্দরে হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার দেখা গেছে মাত্র ৯টি। এরমধ্যেই, দেড়মাস ধরে নষ্ট পাওয়া গেছে বেনাপোল স্থল বন্দরের থার্মাল স্ক্যানিং মনিটর। মাত্র ৩টি হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারে চলছে প্রতিদিন ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার যাত্রীর করোনা পরীক্ষা।
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে হাতে পরীক্ষার মেশিন মাত্র ২টি। দিনে অন্তত এক থেকে দেড় হাজার মানুষ আসছেন সে বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন দেড় থেকে দু’শ ট্রাক ঢুকছে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে। পরীক্ষার বাইরে সেগুলোর ড্রাইভার-স্টাফ।
ভারতীয় একজন পরিবহন শ্রমিক জানান, ওখানে (ভারতে) বেশ কয়েকবার চেক করা হলেও এখানে চেক করার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জিএম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের কোনো ধরনের অসতর্কতার কারণে যদি এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তা খুবই দুঃখজনক হবে। আমরা আরও তৎপর থাকার চেষ্টা করছি।
আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দরেও করোনা শনাক্তের ডিভাইস মাত্র ২টি। করোনা পরীক্ষার দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নেই ছোট স্থলবন্দরগুলোতে।
নৌ-বন্দরে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবে দেখা যায়নি তেমন কোনো কার্যক্রম। আন্তর্জাতিক ৪ বিমানবন্দরের ২টিতে থেমে থেমে চলছে থার্মাল স্ক্যানার।
আইইডিসিআর বলছে, ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ আর সতর্কতাই প্রতিরোধের উপায়। সেক্ষেত্রে, আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের স্বজনদের সচেতনতার কথাও বলছে সংস্থাটি। তাদের মতে, কেউ অসুস্থ বোধ করলে জনসমাগম পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি, স্বেচ্ছা-কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Leave a reply