দ্রুত গতিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে একে ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো– করোনাভাইরাস হলে কীভাবে জানতে পারবেন। আক্রান্ত হলে কী করতে হবে।
আক্রান্ত হলে কীভাবে জানবেন
নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসে, তার পর দেখা দেয় শুষ্ক কাশি এবং সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
কীভাবে পরীক্ষা করা হবে?
আপনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তখন আপনার কাছ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে: নাক, গলা ও ফুসফুস থেকে নির্গত শ্লেষ্মা, রক্ত ও মল বা বিষ্ঠা। এর পর এসব নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আক্রান্ত মনে হলে কী করতে হবে?
ব্রিটেনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, লক্ষণ দেখে আপনি যদি মনে করেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তবে অবশ্যই ক্লিনিক বা হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
এ ছাড়া আপনি টেলিফোনে একটি বিশেষ নম্বরে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার কথা শুনে তারা আপনাকে বলে দিতে পারবেন যে এর পর আপনাকে কী করতে হবে।
সংক্রমণ ঠেকানোর উপায়-
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে।
১. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যেহেতু রোগটি ছড়ায়। তাই আক্রান্ত, সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসাই ভালো।
২. নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যে কোনো ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিচর্যাকারীর মুখে বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নাক-মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবেন না। ব্যবহৃত টিস্যু বা রুমাল যথাযথ জায়গায় ফেলতে হবে।
৪. সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৫. সিঁড়ির রেলিং, দরজার নব, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ি বা রিকশার হাতল ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৬. মাছ-মাংস ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
Leave a reply