বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। বাংলাদেশেও ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তাই, প্রতিরোধকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বাড়তি সতর্কতার কথা বলছেন তারা।
ইতিমধ্যে, করোনা আক্রান্ত ৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর তাদের সংস্পর্শে আসাদের রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কী সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে। মূলত, কোয়ারেন্টাইন সুস্থ মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য। আর আক্রান্ত হলে তাদের জন্য আইসোলেশন।
বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)- এর পরিচালক ড. মীরাজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, আইসোলেশন রোগীর জন্য প্রযোজ্য। যারা করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন তাদের সবার কাছ থেকে একদমই আলাদা করে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটা হচ্ছে আইসোলেশন।
আর যারা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কোয়ারেন্টাইন তাদের জন্য প্রযোজ্য। সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বা হোম কোয়ারেন্টাইন সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। তবে বাড়িতে যাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা যাবে না, যেমন কেউ যদি মেসে থাকে তার সাথে অন্যদের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে, অথবা ঐ বাড়িতে কোনো বৃদ্ধ রোগী থাকে যার ঝুঁকি বেশি সেসব ক্ষেত্রে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করে থাকি। এজন্য, ৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের লক্ষণ, উপসর্গ নেই। কিন্তু তারা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিল।
Leave a reply