ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তিন দিনে মোট ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা দুইজন মহিলা বাকিরা পুরুষ এবং সবাই বিদেশ ফেরত।
পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আজ বুধবার থেকে করোনা প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে শয্যা প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা ঝুঁকি রয়েছে এমন লোকজনকে রাত থেকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখার চিন্তা করছে প্রতিরোধ কমিটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ভৈরবে প্রথমে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় সোমবার। ওই দিন সংখ্যা ছিল ১১জন। রোববার রাখা হয় ১৩জনকে। আজ ১০জন। পারিবারিক ঘরের একটি পৃথক কক্ষে তাদের রাখা হয়েছে। তারা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এই সময় তাদের বাইরে চলাফেরা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙ্গিনা পর্যন্ত এলাকায় চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ব্যতিক্রম হচ্ছে কিনা- এই তথ্য নিচ্ছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সচেতনদেরও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ব্যতিক্রম হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন আসছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষন করছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, সবাইকে যথাযথ নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও সচেতন রয়েছেন। ফলে সমস্যা হচ্ছে না।
Leave a reply