প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিস্তার বন্ধে ইউরোপের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৩০ দিন ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের ভ্রমণ স্থগিত থাকবে।
তবে কঠোর কিন্তু প্রয়োজনীয় এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্যের ওপর আরোপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ও পণ্যসম্ভারের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নতুন নীতি কার্যকর করা হবে। মার্কিন নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ নির্দেশনা কার্যকর হবে না।
মার্কিন ভূমিতে করোনাভাইরাসের প্রবেশ বন্ধ রাখতে ইউরোপ থেকে সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মতো পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশসহ ৩৯ দেশের বাসিন্দা ও নাগরিকদের ওপর অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন তথ্য দিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইউরোপীয় দেশসহ আরও রয়েছে সুইজারল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনস, সুদান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়া।
এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে আসতে পারবেন না। জর্ডান সীমান্ত দিয়ে স্থলচৌকি দিয়েও পারাপার বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। যদিও বাণিজ্যিক ও কার্গো চলাচল অব্যাহত রাখবে।
ভ্রমণ স্থগিতকরণ বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে এসব দেশে বসবাস করা সৌদি নাগরিকরা নিজ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ ওমান, ফ্রান্স, জার্মানি, তুর্কি, স্পেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, মিসর, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ভ্রমণ মুলতবি আরোপ করা হয়েছিল।
ওই সব দেশ থেকে আগমনকারী ও যারা সেখানে ছিল তাদের অন্তত ১৪ দিনের ভেতরে সৌদি আরবে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
Leave a reply