গত বৃহস্পতিবার সচিবালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান একজন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি সরকারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে কর্মরত। সেখানে নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে ইমাম সাহেব করোনাভাইরাসের মহামারি বিষয়ে সতর্কতামূলক বয়ান শুরু করলেন। বক্তব্যে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স দিচ্ছিলেন। তার বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে পাশের মুসল্লিকে জিজ্ঞাসা করেন, ইমাম হুজুর কি এই মসজিদে নতুন যোগদান করেছেন? কেননা এরকম আগে কখনো দেখা যায়নি। প্রশ্নের যে উত্তর পান তাতে অবাকই হলেন তিনি। বক্তা আসলে, সচিবালয় মসজিদের ইমাম নন; তবে তিনি প্রায় প্রতি কর্মদিবসেই সচিবালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের ইমামতি করেন। এবং কোনো জরুরি বিষয় থাকলে খুতবার মতো করে খোলামেলা আলাপও করেন। তিনি হলেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে প্রকাশ করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে কর্মরত এই কর্মকর্তা। পোস্টে দেখা যায় অনেকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের প্রশংসা করে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
আহমেদ আলী নামে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, এমন যদি হতো সকল কর্মকর্তা।
সরকারের আমলাদের মধ্যে সবচেয়ে মযার্দাপূর্ণ চেয়ারে বসে অর্থাৎ দেশের এক নম্বর সচিব হয়েও গভীর ধর্মীয় জ্ঞান সমৃদ্ধ একজন ন্যায়নিষ্ঠ কর্মকর্তা মানুষকে ধর্ম ও নৈতিকতার দিকে প্রতিনিয়ত আহ্বান জানাচ্ছেন তা বেশিরভাগ ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আগে বসতেন মহাখালীর সেতু ভবনে। সেতু বিভাগের সচিব থাকা অবস্থায় সেখানেও সবার সাথে নামাজ পড়তেন, ইমামতিও করতেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়ে আসার পর সচিবালয়েই অফিস করেন। সচিবালয়ের মসজিদে নিয়মিত জোহরের সময় ইমামতি করেন।
Leave a reply