ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীতে শিক্ষক সমিতির সম্মেলনে হাতাহাতি ও হট্টগোলে জড়িয়েছেন দুই দল শিক্ষক। এই কারণে স্থগিত হয়ে যায় সম্মেলনটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে ফেনী সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে শিক্ষকদের একটি পক্ষ এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্তও সম্মেলনের তফসিল কিংবা ভোটার তালিকা সম্পর্কে বেশিরভাগ শিক্ষক কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন।
তাদের দাবি, সর্বশেষ ২০১১ সালে সবার অংগ্রহণে জেলা শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ডিএম একরামুল হক সভাপতি ও মীর হোসেন ভূঞা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৫ সালে শিক্ষকদের একটি অংশ একতরফাভাবে সম্মেলন আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে হাবিবুর রহমান পাটোয়ারি সভাপতি ও মোসাদ্দেক আলীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেয়া হলেও তারা কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন পায়নি।
এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সবশেষ ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের মেয়াদ বেঁধে দিলেও মোসাদ্দেক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ফের টালবাহানা করেন। গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনের ৮০ দিন পূর্বে তফসিল ঘোষণার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি।
এমনকি গতকাল শুক্রবার পর্যন্তও এ নির্বাচনের তফসিল কিংবা ভোটার তালিকা সম্পর্কে শিক্ষকরা অবহিত হননি। দেড় শতাধিক স্কুলের ৬ শত কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা। অথচ গতকাল পর্যন্তও ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়নি। মোসাদ্দেক আলী তার ইচ্ছেমত ভোটার তালিকা তৈরি করে রেখেছেন। এতে তার অপছন্দের শিক্ষকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
Leave a reply