‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বিধি মানছেন না শরীয়তপুরের অধিকাংশ প্রবাসী। তারা সবার মাঝেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। একইসাথে মানছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা।
এর ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় থাকার কথা জানালেও সরেজমিনে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে নির্দেশনা না মানলে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেবেন তারা।
জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার চাকধো এলাকায় চলতি মাসের ৭ তারিখ এসেছেন রবিন নামে এক প্রবাসী। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি মতে তার থাকার কথা ছিল হোম কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বাড়িতে গেলে তার স্বজনরা জানান তিনি বাড়ির বাইরে গেছেন।
এরপর তার সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় তিনি পাশের বাজারেই আছেন। বাজারে গিয়ে তার দেখা মেলে একটি মিষ্টির দোকানে। তারপর বের হয়ে মোটরবাইক যোগে চলে যান অন্যাত্র।
জানতে চাইলে রবিন বলেন, আমাকে ইতালিতে, দুবাইতে এবং শেষ বাংলাদেশে এয়াপোর্টে চেক করে ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি কোন ধরনের অসুস্থ্যতাও বোধ করছি না। তাছাড়া আমার বাড়িতে কোন চিকিৎসাকর্মী আসেনি এখন পর্যন্ত।
একই চিত্র নড়িয়ার বেশিরভাগ ইতালি প্রবাসীদের। বেশ খোলামেলা ঘুরছেন হাট বাজারে। যারা বাড়িতে থাকছেন তারাও অরক্ষিত বলা চলে। মেলামেশা করছেন পবিরারের স্বজনদের সাথে।
সম্প্রতি ইতালি থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে আমাকে বলে দিয়েছে বেড রেস্টে থাকার জন্য। এর বেশি কিছু না। তাছাড়া আমি বাড়িতে আসার পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ আমাকে দেখতে আসেনি এখন পর্যন্ত।
এদিকে ইতালি প্রবাসীদের দেশে আসার পর উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। তারা জানায়, যেভাবে প্রবাসীরা মিশছেন আর ঘুরে বেড়াচ্ছেন এতে আমরা আতংকিত। আমরা ভয়ে আছি। বিধি নিয়ম মেনেই প্রবাসীদের থাকার দাবি জানাই।
প্রবাসীদের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার পরামর্শ ও পযবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা যেসব প্রবাসীরা মানবেন না প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ নিরোধ আইন প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার এবং সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, শরীয়তপুরে ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ২১০ প্রবাসী এসেছেন যার মধ্যে অধিকাংশই ইতালি প্রবাসী।
Leave a reply