এখন পর্যন্ত দেশে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা কেবলমাত্র আইইডিসিআর-এ। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ সনাক্ত হওয়ার আগেই ছড়াতে পারে কোভিড নাইনটিন।
অন্যদিকে ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া কিংবা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ভিড়। একদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে ডেঙ্গুর ভয়। বর্ষার আগেই ৩ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬৩ জন। জ্বর ঠান্ডা বা নিমোনিয়ার মত রোগের উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত হচ্ছেন নগরবাসী। শঙ্কা কাটাতে তারা ছুটছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
চিকিৎসকের অপেক্ষায় থাকা এই দীর্ঘ রোগীর শারিতে যারা আছেন, ল্যাব পরীক্ষা না করে তাদের পক্ষে কোনভাবেই জানা সম্ভব নয়, রোগটি সাধারণ জ্বর, ডেঙ্গু নাকি কোভিড-১৯। আর তাই হাসপাতালে এসেও মনে বাড়তি সংঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে চলছে চিকিৎসা সেবা সে বিষয়ে অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ মোর্শেদ(পরিচালক, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল) বলেন, করোনা ভাইরাস এর স্পেসিফিক উপসর্গ হলো নিউমোনিয়া। প্রথমে আমরা এক্সরে করে যদি দেখি লাঞ্চে ইনফেকশন আছে তাহলে আমরা সতর্ক হই এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চলে যায়।
তিনি বলেন, তার মানে হচ্ছে রোগীর শরীরে ভাইরাসের ধরণ জানার আগেই তা সংক্রমিত হতে পারে অন্যের শরীরে। দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে শুধুমাত্র আইইডিসিআরে। কিন্তু উপসর্গ যাচাইয়ে ছোট বড় সব হাসপাতালেই ভিড় করছেন আতঙ্কিতরা।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষা আমাদের দেশে এখনও প্রচলিত হয়নি, কারণ পিসিআর করতে হয় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এই ধরনের পিসিআর মেশিন তো সব হাসপাতালে নেই। এ কারণে এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় একটি সংস্থা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা ভালো। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছে।
অধ্যাপক ডা: শাহনীলা ফেরদৌসী (পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) বলেন,
করোনা অথবা ডেঙ্গু যেটাই হোক, ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসকের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুধু মাত্র রোগী নয়, সচেতন হতে হবে চিকিৎসকদেরও।
Leave a reply