করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় এমন খবর দিয়েছেন।
পাকিস্তানের ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১ জনে। মারা যাওয়া দুই ব্যক্তিই উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৯ ব্যক্তির এই রোগ সংক্রমণ ঘটেছে।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাইমুর খান জাংরা বলেন, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, লেডি রিডিং হাসপাতালে দ্বিতীয় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি হাঙ্গু জেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরদিনই তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ অসিম বলেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় মাইলফলকে পৌঁছার ঘোষণা দিয়েছে চীন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটিতে কোনো নতুন রোগী কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
কিন্তু দেশের বাইরে থেকে আসা লোকজনের কারণে চীনের এই উন্নতি হুমকিতে পড়তে পারে।
যখন বৈশ্বিক মহামারীটি নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া চেষ্টার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশ নিজেদের অচল করে রেখেছে, তখনই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির এই অগ্রগতির খবর এসেছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে বাইরের দেশগুলোতে এখন মৃত্যুর সংখ্যা ও আক্রান্ত বাড়ছে। গত ডিসেম্বরে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সামুদ্রিক প্রাণীর বাজার থেকে প্রথম এই ভাইরাস ছড়ায়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই উহানে নতুন কোনো ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এমন তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে শহরটির এক কোটি ১০ লাখ লোককে কঠিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে হুবেই প্রদেশের বাদবাকি অঞ্চলের চার কোটি লোককেও কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়।
লোক জমায়েতের ক্ষেত্রে চীনের ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কমিশন জানায়, চীনে নতুন করে আট রোগী মারা গেছেন। তবে তারা সবাই হুবেই প্রদেশের। এতে এই মহামারীতে চীনে তিন হাজার ২৪৫ জন মারা গেছেন।
চীনে সর্বমোট ৮১ হাজার লোক নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। যদিও তাদের মধ্যে কেবল সাত হাজার ২৬৩ জন কোভিড-১৯ রোগে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
Leave a reply