নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি ফসলের ক্ষেতে এঁকেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। তার ডাক নাম সবুজ। বিএ পাশ করে বর্তমানে তিনি একজন আধুনিক কৃষক।
ফসলের উন্নয়নে কৃষি বিভাগ নিত্যনতুন যে সকল প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে, সবার আগে সবুজের ক্ষেতে তার দেখা মিলবেই।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ চারার সীমানা দিয়ে মধ্যে লালচে-বেগুনি রঙের চারা রোপন করে এই মানচিত্র আঁকা হয়েছে। ক্ষেতটি সড়কের পাশেই। তাই ধানের চারায় বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ভীড় করছে।
সবুজ নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বীরপাগলী গ্রামের মাফিজ উদ্দিনের ছেলে। পুরো নাম এরশাদুর রহমান সবুজ (৩৭)। ভালোবাসেন বঙ্গবন্ধুকে।
কথা হয় সবুজের সাথে। ফসলের ক্ষেতে লাল-সবুজ চারা রোপন করে পতাকা আঁকার ইচ্ছে হলো কেন- জানতে চাইলে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মুজিববর্ষ পালনের ঘোষণা শুনে আমারও একটা কিছু করতে ইচ্ছে হয়। গরীব কৃষক আমি। কী করব? বঙ্গবন্ধু কৃষকদের ভালোবাসতেন। তিনি আমাদেরকে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আমি ব্যতিক্রমভাবে ধানের চারা রোপন করার মাধ্যমে ফসলের ক্ষেতে বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করবো। উদযাপন করবো মুজিববর্ষ।’
সবুজ বলেন, ‘এই কাজটি করার জন্য আমি গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। লালচে রঙের ধানের বীজ সংগ্রহ করেছি সুদূর নীলফামারী থেকে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় আমাকে সহায়তা করেছেন। মানচিত্রের মতো করে ধানের চারা রোপনে সহায়তা করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ বলেন, ‘সবুজের আগ্রহ দেখে কৃষি বিভাগ তাকে সহায়তা করেছে। ক্ষেতটি সড়কের পাশে। তাই ধানের চারায় আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য লোক এখানে ভীড় জমায়।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোরশেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কৃষকবান্ধব ছিলেন। মানচিত্র এঁকে সবুজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাইনুল হক কাসেম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি সবুজের ভালোবাসা অনুকরণীয়। বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকারের ভালোবাসার মধ্যেই আছে দেশপ্রেম আর উন্নয়ন।’
Leave a reply