‘আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার’

|

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও সেখানে কোনো আলোচনা-সমালোচনা হয়নি উল্লেখ করে  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’ এসময় বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট চূড়ান্ত করার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানিতে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আজ রোববার সরকারকে আরও এক দফা সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

শুনানি চলাকালে আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এখন উত্তপ্ত সময়। তাই নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি প্রণয়নে দীর্ঘ সময় দরকার। একপর্যায়ে, সব বিষয় নিয়ে ঝড় উঠে গেছে বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা তো কোনো মন্তব্য করছি না। সব তো আপনারাই করছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এদফা  কতদিন সময় চায় তা জানতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বন্ধের এক সপ্তাহ পর।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার মতই আমরা রাখলাম। ৮ অক্টোবর তারিখ রাখলাম।’

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি প্রকাশ করতে এ পর্যন্ত ২৫ বার সময় পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ নিয়ে টানাপোড়ন চলছে বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের। এর আগে বিধিমালার খসড়া ফিরিয়ে দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। সকালে শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে আলোচনায় বসার আহ্বানের কথা মনে করিয়ে দেন।

আলোচনা না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। কবে কী হবে অ্যাটর্নি জোনারেলের কাছে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি।

এ মামলার একজন অ্যামিকাস কিউরি এম আমীর উল ইসলাম তার আবেদনের শুনানির আবেদন জানালে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরেছে। যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর দিকে দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য করেছেন। সেখানে কিছুই হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply