স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। ফার্মেসি ও সুপারমার্কেটগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
তবে এই চাহিদা মেটাতে এখন শুধু ওষুধ কোম্পানীগুলোই নয়, ব্যাক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায়- কোন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনা রুখতে কার্যকর?
বলাবাহুল্য, হাতের তেল জীবাণুর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। তাই হাতের তালু সবসময় তেলমুক্ত রাখা উত্তম। সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, গরম পানি ও সাবান দিয়ে ঘনঘন হাত ধুয়ে নেয়া। গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে হাতের তেল দূর হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে জীবাণু ধ্বংসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যপক ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে যখন সাবান ও পানির ব্যবস্থা থাকে না। এটা একটি প্রমাণিত বিষয় যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিভিন্ন প্রকৃতির জীবাণু ধ্বংস করতে পারে অথবা জীবাণুর সংখ্যা কমায়।
সাধারণত দুই ধরণের হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে। অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও অ্যালকোহলমুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অ্যালকোহলুযক্ত স্যানিটাইজারে বিভিন্ন পরিমাণে বিভিন্ন প্রকৃতির অ্যালকোহল থাকে। সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ শতাংশে আইসোপ্রপাইল অ্যালকোহল, ইথানল (ইথাইল অ্যালকোহল) অথবা এন-প্রপানল থাকে। গবেষণা বলে অ্যালকোহল অধিকাংশ জীবাণু ধ্বংস করে।
অন্যদিকে অ্যালকোহলমুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহলের পরিবর্তে কোয়াটারনারি অ্যামোনিয়াম কম্পাউন্ড (সাধারণত বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড) থাকে। এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার জীবাণু ধ্বংস অথবা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অপেক্ষা কম কার্যকর হয়ে থাকে।
গবেষণা বলছে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার শুধু বিভিন্ন প্রকৃতির ব্যাকটেরিয়াই ধ্বংস করে না, বরং এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসও ধ্বংস করতে কার্যকর। অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে ধ্বংস হয় এমনকিছু ভাইরাস হলো: ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস, রাইনোভাইরাস, হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, এইচআইভি ও মার্স।
তবে হাত পরিষ্কার করতে স্যানিটাইজারের পরিবর্তে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলাই সবচেয়ে ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সাবানের পরিষ্কারক প্রতিক্রিয়া ও ধোয়ার ঘর্ষণ উভয়ে হাতের জীবাণু, নোংরা ও অর্গানিক ম্যাটারিয়াল দূর করতে একত্রে কাজ করে।
Leave a reply