করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। কিন্তু স্যানিটাইজার উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ রেক্টিফাইড স্পিরিটের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার না করায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে এখনো কার্যকর রয়েছে স্যানিটাইজারের ওপর ভ্যাট আরোপের বিষয়টি। ফলে উৎপাদিত স্যানিটাইজারের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে অনেক। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যাঘাত ঘটছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমেও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দুইটি বিষয়ে সরকার ছাড় দিলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বল্পমূল্যে উৎপাদন করা সম্ভব হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চাহিদা অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উৎপাদন বাড়াতে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে জনসাধারণের হাতে পৌঁছে দিতে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে কোম্পানিগুলো দুই ধরনের অ্যালকোহল ব্যবহার করে। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল অথবা ইথাইল অ্যালকোহল বা রেক্টিফাইড স্পিরিট। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানি করতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোকে নির্ভর করতে হচ্ছে দেশে উৎপাদিত রেক্টিফাইড স্পিরিটের ওপর। প্রতি লিটার রেক্টিফাইড স্পিরিটের ওপর ১১১ টাকা শুল্ক দিতে হয়।
ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, দেশের এই জরুরি পরিস্থিতিতে গত ২২ মার্চ এনবিআর থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানিতে যেভাবে সব ধরনের শুল্ক ছাড়ের বিধান দেয়া হয়েছে তা দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত রেক্টিফাইড স্পিরিট উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রণালয়কে দ্রুত উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।
সূত্র জানায়, এনিয়ে বেশি নথি চালাচালির প্রয়োজনও নেই। যেহেতু সব ধরনের আমদানি বন্ধ থাকায় আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানিও বন্ধ রয়েছে, সেহেতু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না।
উল্লেখ্য, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল সংকটের কারণে ইতিমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি এবং যমুনা ডিস্টিলারিজ লিমিটেডসহ রেক্টিফাইড স্পিরিট উৎপাদনে সক্ষম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যমুনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা ডিস্টিলারিজ লিমিটেড জাতির এই দুর্যোগকালীন মুহূর্তে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের আহ্বানে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে।
Leave a reply