নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে রক্তবমি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিহত ২৪ বছর বয়সী নিলয় মজুমদারের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তার শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) থেকে রিপোর্ট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস। নিহত নিলয় মজুমদার আজিজিয়া কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা তপন মজুমদার। নিলয় মজুমদার চৌমুহনীর একটি ডেন্টাল ক্লিনিকে দন্ত চিকিৎসক ডা. শরীফের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, শুক্রবার বিকেলে নিহতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নমুনার পরীক্ষা শেষে আমাদের কাছে রির্পোট এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ, তার শরীরে করোনাভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, যেহেতু নিহত নিলয় মজুমদারের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায়নি তাই আজিজিয়া কমপ্লেক্স, ডাক্তার আহসান উল্যা টাওয়ার ও আল মদিনা টাওয়ার থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিলয় মজুমদারের কাশির সাথে রক্ত যাওয়া শুরু হলে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চৌমুহনী পাবলিক হল সংলগ্ন আজিজিয়া কমপ্লেক্স, ডাক্তার আহসান উল্যা টাওয়ার ও আল মদিনা টাওয়ার লকডাউন করে প্রশাসন। পরে একজন চিকিৎসক ও একজন মেডিকেল টেকনোলজিস দিয়ে নিহত নিলয়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
Leave a reply