নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া ও যুবলীগ নেতা নাসির খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে সোনিয়া (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত ও উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ও পাশ্ববর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সোনিয়া কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে ও সদাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘটে। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৬টি বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ কালিকাপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার (৩২) ও আবু সামাদের ছেলে সবুজ (২৪) আটক করেছে। রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেব দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে শবুর মিয়া (৫০), সৈয়দ জামানের ছেলে জাকির মিয়া (৩৮), জিতু মোল্লার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০), জালাল মিয়া (৪০), মৃত তাহের মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৬০), ছেলে হেলাল মিয়া (৩২), অন্তঃস্বত্তা পুত্রবধূ মুক্ত আক্তার ও শান্ত মিয়ার স্ত্রী আনু (৩৩), হযরত আলীর ছেলে মগল হোসেন (৩৮), ইনু মিয়ার ছেলে মাছুম (২৫) ও বাছেদ (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঁনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে শুক্রবার রাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শনিবার সকালে হঠাৎ দুইপক্ষের লোকজন টেঁটা বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্রীসহ দুই পক্ষের ১০জন আহত হয়। এসময় উভয় পক্ষের ছয়টি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আ’লীগ নেতা বাবুলের দুই সমর্থক সাত্তার ও সবুজকে আটক করে।
Leave a reply