Site icon Jamuna Television

নিশ্চিত করা হচ্ছেনা পাইলট-ক্রুদের হোম কোয়ারেন্টাইন

করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টটাইন বাধ্যতামুলক করা হলেও, বহনকারী বিমানের পাইলট ও ক্রুদের ক্ষেত্রে সেটা মানা হচ্ছে না। এমন অভিযোগ খোদ রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মীরা। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেননা তারা।

বিষয়টি স্বীকার করলেও, পাইলট ও ক্রুদের কোয়ারেন্টাইন দরকার নেই বলে মন্তব্য করলেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বাংলাদেশ বিমানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, ক্রু আর পাইলটারা রেস্ট্রিটেকড রুটিন মেনটেইন করেন। তারাতো অন্য সবার মতো সেখানকার বাজারে ঘুরছেনা। হেলথ ডিপার্টমেন্ট যেভাবে বলছে সেভাবেই করা হচ্ছে সব। আর পাইলট তো আর আমরা একা অপারেট করছিনা, অন্য এয়ারলাইন্সগুলোও পাইলট অপারেট করছে।

এরআগে, উহান থেকে প্রথম আসা বাংলাদেশীদের সবার মত তাদের বহন করে আনা উড়োজাহাজের পাইলট এবং ক্রুদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। পরে করোনার কারণে বেশীর ভাগ রুট বন্ধ হয়ে গেলেও চালু ছিলো যুক্তরাজ্যের দুটি ফ্লাইট। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামুলক করা হয়। কিন্তু বিমানের পাইলট ও ক্রুদের বেলায় তা মানা হচ্ছেনা।

বিমান বন্দরের চিকিতসকরা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুকি নেয়ার কোনও সুযোগ নেই।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, আমরা বলতেছি তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। কিন্তু তারা কতদূর মানছে তা তাদের দেখা উচিত।

প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে পাইলট ও ক্রুদের ঝুকিপুর্ণ দেশে একাধিকবার ডিউটি নিয়ে ক্ষোভ আছে বিমানের পাইলট ও ক্রুদের মাঝে। অনেকে লিখিত ছুটির আবেদন করেছেন কতৃপক্ষের কাছে। বিমান কতৃপক্ষের বিষয়টি হালকা ভাবে দেখা ঠিক হচ্ছেনা বলে মনে করেন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version