প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেড়েছে রোবটের ব্যবহার। মাস্ক-গ্লাভস ব্যবহারে সতর্কতা বাড়াতে কোথাও ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট। আবার কোথাও রোবট দিয়েই ছিটানো হচ্ছো ওষুধ। আবার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অনেক রেস্তোরাই খাবার পরিবেশন করছে রোবট দিয়ে। করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে জার্মানির এক সুপারশপে মোতায়েন করা হয়েছে এসব রোবট।
এদিকে মার্ক ফিলিপ সুপারশপ ব্যবস্থাপক বলেন, বেখেয়ালি অনেক ক্রেতাই সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি ভুলে যান। কেউ কেউ আবার গ্লাভস কিংবা মুখোশ ব্যবহার করছেন। তাদের বিষয়গুলো মনে করিয়ে দিতেই এই ব্যবস্থা। ক্রেতারাও এটাকে খুব ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছেন।
বিশ্বব্যাপি প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পরই, বেড়েছে রোবটের চাহিদা। কোথাও ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। আবার কোথাও, রোবটের মাধ্যমেই চলছে করোনাভাইরাস শনাক্ত। আবার রেস্তোরায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওয়েটারের বদলে ব্যবহার হচ্ছে রোবট। এমন কি গৃহস্থালী কাজেও বেড়েছে রোবটনের কদর।
টি আর কর্পোরেশনের অপারেশন ম্যানেজার টনি লি জানান, সাবওয়ের লাইন এবং ট্রেনের কোচগুলে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে কোনো মানুষ পৌঁছাতে পারে না। সেসব জায়গায় ওষুধ ছিটাতেই এই রোবটের ব্যবস্থা। আবার যেসব কোচে কোনো সন্দেহভাজন আক্রান্ত মিলছে সেখানে কোনো কর্মী না পাঠিয়ে এই রোবট পাঠিয়ে ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
এ অবস্থায়, চাহিদা বেড়েছে ‘করোনা রোবটের’। সরবরাহ ঠিক রাখতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।
হঠাৎ করেই আমাদের রোবটের চাহিদা বেড়েছে। নানা রকম রোবটনের অর্ডার পাচ্ছি আমরা। কোনোটা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করতে পারে তো আবার কোনোটা ওষুধ ছিটাতে পারে। আবার কোনো কোনো রোবট খাবার সরবরাহসহ বিভিন্ন গৃহস্থালী কাজ করতে পারে যাতে মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয় জানান কিনোন রোবটের সিইও লি টং। এদিকে করোনার প্রকোপ মোকাবেলায় ভারতেও ব্যবহৃত হচ্ছে রোবট।
Leave a reply