করোনা সংকটে যেন বোমা ফাটালেন ভারতের কিংবদন্তি চিকিৎসক ডা. অরবিন্দ কুমার। তিনি বলেছেন, এই ভাইরাস মানুষের সব ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।
অরবিন্দ নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে সেন্টার ফর চেস্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান। প্রখ্যাত এ চিকিৎসক বলেন, এ ভাইরাসের মানুষের সব ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে একটি হাসপাতালেই ডজনে ডজনে মানুষ মারা যাচ্ছেন, এটা কি কল্পনা করার মত?
ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের চলাচল ও প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে কড়াকড়ি আরোপে সরকারের নেয়া নজিরবিহীন সিদ্ধান্তই দেশটিতে করোনার হট স্পট শনাক্ত করার সবচেয়ে ভালো সুযোগ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী এবং ভ্যান্টিলেটর উৎপাদনের মূল্যবান সময় দেয়া হয়েছে।
ডা. অরবিন্দ বলেন, ‘খোদার কসম আমরা যদি ইউরোপের মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছাই, তাহলে আমরা এটিকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’
এদিকে আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় শয্যা, ভ্যান্টিলেটর, পিপিইর এক চতুর্থাংশও নেই; এ সব কিছুই দরকার বলে জানালেন ভারতের আরেক চিকিৎসক নরেশ ত্রিহান। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আলামত পেয়েছি। কিন্তু এটা কীভাবে ছড়াচ্ছে সেটা অজানা। আমরা যে ধরনের প্রস্তুতিই নিই না কেন, যখন এটি একেবারে চূড়ান্ত মাত্রায় সংক্রমণ ঘটাবে তখন কী ঘটবে সেটা ভেবেই আঁতকে উঠি।
একইসাথে ভারতে এই সংক্রমণ প্রকট হলে ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এই চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তিন দিনে দ্বিগুণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ২৫১ জন থেকে তিন দিনে বেড়ে তিন হাজার ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এদিকে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্র“পের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেশটিতে করোনা ভাইরাসে মোট ৮৬ জন মারা গেছে এবং মোট তিন হাজার ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।
Leave a reply