রোনালদোকে ছাড়াই স্প্যানিশ লিগের প্রথম ম্যাচে দাপটের সাথেই জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠে তারা জয় পায় ৩-০ গোলে।
ওদিকে লিগের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে বার্সেলোনাও। তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেটিসকে। আর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে নেইমারের দাপটে তুলুজকে ৬-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি।
ন্যু ক্যাম্পের পরিবেশ কাল বেশ ভারি ছিল। সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় বহু মানুষ হতাহতের শোক এখনও কাটিয়ে ওঠতে পারেনি স্থানীয়রা। ম্যাচেও এর প্রভাব ছিলো। প্রিয় শহরের নাম পিঠে চড়িয়ে মাঠে নামেন মেসিরা।
দলকে এখনো গুছিয়ে নিতে পারেননি বার্সা কোচ ভালভার্দে। নেইমারের হুট করে চলে যাওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ইনজুরির কারণে লিগের প্রথম ম্যাচে পেলেন না সুয়ারেজ ও ইনিয়েস্তাকে।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে মেসির শট পোস্টে লাগলে গোল বঞ্চিত হতে হয় তাকে। দুই মিনিটের ব্যবধানে অবশ্য এগিয়েও যায় কাতালানরা। দেউলেফেউর ক্রসে মেসির পা না লাগলেও বেটিসের ডিফেন্ডার তোসকের পা ছুঁয়ে যায়। আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় বার্সা।
তিনি মিনিটের ব্যবধানে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালানরা। এবারও দেউলেফেউ’র ক্রস। স্কোর শিটে নাম লেখান সার্জেই রোবের্তো। ম্যাচের বাকিটা সময় দুই দল গোলের জন্য লড়লেও নতুন কোনো গোল যোগ হয়নি ম্যাচে।
দেপোর্তিভোর মাঠে অবশ্য রিয়াল ছিলো চ্যাম্পিয়নের মতই। রোনালদো নেই, তাই সাবধানী শুরুর বদলে নিজেদের সহজাত খেলাই উপহার দেন জিদান শিষ্যরা। সাফল্য আসে ম্যাচে ২০ মিনিটেই। বেনজেমার অবাক করা পাসে স্কোর শিটে নাম তোলেন বেল।
৭ মিনিট পর মার্সেলোর ক্রস থেকে কাসিমেরোর গোলে ইঙ্গিত দিচ্ছিলো রিয়ালের বড় জয়ের। দেপোর্তিভোর রক্ষণভাগের যেনো চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে বেলের ব্যাক পাস থেকে টনি ক্রুসের নিখুত প্লেসিং ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে রিয়ালের।
বার্সার যেখানে প্রায়ই হাহাকার করতে হতো, সেখানে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে বেশ দাপটের সাথেই মাঠে রয়েছেন নেইমার। ম্যাচের ১৮ মিনিটে অবশ্য মাক্স গ্রাদেলের গোলে এগিয়ে যায় তুলুজই।
নেইমারকে অবশ্য বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি। ৩১ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। চার মিনিট পর ম্যাচে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
বিরতির পর ৬৯ মিনিটে তুলুজের অধিনায়ক জুলিয়াঁকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার মার্কো ভেরাত্তি। অবশ্য এক জন কম নিয়েও আক্রমণের ধার কমায়নি পিএসজি। ৭৫ মিনিটে নেইমারকে ডি-বক্সে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় তারা। স্পটকিকে ব্যবধান ৩-১ করেন কাভানি।
৭৮ মিনিটে থিয়াগো সিলভার আত্মঘাতী গোলে ১০ জনের পিএসজির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগায় অতিথিরা। তবে দুই মিনিটের ব্যবধানে দু’বার বল জালে পাঠিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করে গত পাঁচ মৌসুমে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আর অতিরিক্ত সময়ে নেইমারের দুর্দান্ত গোলটি পুরোপুরি তার চড়া দামের সাথে বেশ মাননসই ছিল! ডি-বক্সে চারজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানান নেইমার।
/কিউএস
Leave a reply