যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ অনুবাদ করে তা থেকে কথা বের করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গবেষকরা।
মার্কিন গবেষকরা দাবি করছেন, মেশিন লার্নিং (এমএল) ব্যবহার করে অনেকটাই এ পথে এগিয়েছেন। কথা বলার সময় কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কের তরঙ্গ দেখে তা ডিকোড করার ক্ষমতার একটি ধাপ অতিক্রম করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সিসকোর (ইউসিএসএফ) গবেষকেরা অ্যালগরিদমকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যা মস্তিষ্কের ধরণকে রিয়েল টাইমে বাক্যে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। এ সময় বাক্য গঠনে ভুলের হার মাত্র ৩ শতাংশ বলেও জানিয়েছেন তারা। একে বলা হয় ‘ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস’।
এর আগে স্নায়বিক কার্যকলাপ ডিকোডিং বা কোড থেকে বাক্য রূপান্তর করতে সাফল্যের হার ছিল অনেক সীমিত।
এর আগে গবেষকেরা কেবল কোনো শব্দের ক্ষুদ্র অংশ বা কোনো বাক্যের সামান্য কিছু অংশ ডিকোড করতে পারতেন। তবে মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. জোসেপ মার্কিন ও তার সহকর্মীরা মস্তিষ্কের তরঙ্গ দেখে পুরো বাক্য পড়ে ফেলার কাজটি নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা চালান।
চারজন স্বেচ্ছাসেবক বাক্য জোরে পড়ে শোনানোর সময় ইলেকট্রোড তাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করে রাখে। এরপর তা কম্পিউটিং সিস্টেমে দেয়া হয়। এরপর কম্পিউটার সিস্টেম সেখান থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে শব্দ গঠন ও পরে বাক্য গঠন করে।
তবে গবেষকেরা এখনও তাদের গবেষণার সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছেন। গবেষণা নিবন্ধে গবেষকেরা লিখেছেন, তাদের ডিকোডারকে আরও বেশি শেখানো হবে। এছাড়া নিয়মিত ভাষা ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কী পরিমাণ ডেটা বা তথ্য লাগবে, তা জানা প্রয়োজন।
সূত্র: বিবিসি
Leave a reply