বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনী আব্দুল মাজেদ বাংলাদেশে আসার আগে ভারতের কলকাতায় ২৩ বছর পালিয়ে ছিলেন। এমন দাবি করেছেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, আত্মস্বীকৃত এই খুনী দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত নন তিনি। তবে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরপর আত্মস্বীকৃতির সেই ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উত্তর দেননি তিনি।
দুই যুগ বিদেশে পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতে মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এতে স্বস্তি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই খুনীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এটি মুজিববর্ষের সবচেয়ে বড় উপহার।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, এই মামলা আপিল বিভাগেও রায় হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মাজেদের হাতে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তার ফাঁসি কার্যকর করতে কোনো বাধা নেই
ভয়াল ১৫ই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিলেন লেফট্যানেন্ট পদমর্যাদার অফিসার আবদুল মাজেদ। পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চারনেতা হত্যাযজ্ঞেও ছিলেন মাজেদ। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সময় সেনেগাল দুতাবাসে চাকরি হয় তার। ছিয়ানব্বইয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পালিয়ে যান তিনি।
Leave a reply