মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ২৫ মার্চ হতে ঢাকা শহরের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের সাধারণ জনগণ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ আসছে না কোন ডাক্তার। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা মিলছে না ঠাণ্ডা ও কাশিজনিত সমস্যার। এমতাবস্হায় শহরবাসীর ছোট খাটো সাধারণ সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছিল মুন্সীগঞ্জ শহরের ফার্মেসীর ফার্মাসিস্টগণ। কিন্তু শহরবাসীর অভিযোগ আজ থেকে ঔষধ ব্যসায়ীদের নাটকে নতুন সমস্যায় পড়েছে মুন্সিগঞ্জ শহরবাসী।
যেখানে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে। সেখানে আজ হঠাৎ করে মুন্সীগঞ্জের ঔষধ পল্লী নামে পরিচিত সুপারমার্কেটে এর সবগুলো ফার্মেসী সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে বিপাকে পড়ে শহরের সাধারণ মানুষ। কারণ সদর হাসপাতাল ও মাতৃসদনসহ এই ওষুধ পল্লী উপর নির্ভরশীল রয়েছে আরও পাঁচটি প্রাইভেট ক্লিনিক। যার ফলে প্রাইভেট ক্লিনিক এর রোগীদের ঔষধ এর জন্য ভিড় দেখা যায় সুপার মার্কেট চত্বরে। এ ব্যাপারে ঔষধ ব্যসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান সভাপতি মোঃ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে তারা ফার্মেসী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এ ব্যাপারে সভাপতি মোঃ সুমনের সাথে কথা হলে তিনি জানান- এ ধরনের কোনো নির্দেশ তিনি প্রদান করেননি, তবে দুপুরে পৌরসভা কর্তৃক দোকান বন্ধজনিত একটি মাইকিং এর ফলে নিরাপত্তা জনিত কারণে দোকানদারদের দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা ড্রাগ সুপার মোঃ মাহবুব আলম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান -সুপার মার্কেট এর ঔষধের দোকান বন্ধের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা এবং তাকে কিছু জানানোও হয়নি। তবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ফার্মেসী ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান- সরকারি নির্দেশ মতে ঔষধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে কারও ক্ষমতা নেই ওষুধের দোকান বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়ার। তিনি আরো জানান, শুধু সুপারমার্কেট নয় মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রতিটি অলিগলির ওষুধের দোকান ও ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে পারবে।
Leave a reply