করোনার ঝুঁকি থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। লকডাউনে আছে রাজধানীর অন্তত ৫০টি বাড়ি-গলি ও মহল্লাও। এছাড়া ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানেও এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের পরিধি আরও বাড়বে।
করোনা সংক্রমের মুখে দেশজুড়ে বাড়ছে শাটডাউন-লকডাউনের পরিধি। নতুন ১৫ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের পরই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুরোপুরি লকডাউনের ঘোষণা করেছে আইএসপিআর।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
দেশে করোনা আক্রান্তের মোট তালিকা বলছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ঝুকিতে আছে রাজধানী। আর এই মহানগরীর ভেতরের সবচেয়ে ঝুকিপুর্ন অবস্থায় আছে বাসাবো, টোলারবাগ, ওয়ারী, লালবাগ, এবং মোহাম্মাদপুরের বিভিন্ন এলাকা।
সব মিলিয়ে রাজধানীর ৫০টি জায়গা আছে লকডাউনে। বাড়ি-গলি-মহল্লা মিলিয়ে নতুন করে লকডাউন করা হয়েছে ১০টি জায়গা। সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে আগেই লকডাউন করা হয়। এরপর একে একে মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা, তাজমহল রোড, রাজিয়া সুলতানা রোড সহ এখানকার আরো কিছু সড়ক আছে লকডাউনের তালিকায়।
পুরান ঢাকায় দেওয়ান লেনের ২০০টি ভবনের সবাইকে করা হয়েছে অবরুদ্ধ। পল্টনের কিছু অংশ সহ ধানমন্ডি-৬-এর একটি অংশ আছে পুলিশি টহলে।
এছাড়া, সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নড়াইলে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করেছে প্রশাসন। চট্টগ্রামে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে মানুষ ও যান চলাচলে। রাজশাহীতে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি’র সভায় বলা হয়েছে, কেউ জেলা থেকে বের হতে বা প্রবেশ করতে পারবে না।
করোনোর বিস্তার ঠেকাতে আগামীতে লকডাউনের তালিকা আরও লম্বা হবে।
Leave a reply