চলচ্চিত্রে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ আর ছাদ থেকে মাটিতে লাফের মতো দৃশ্যে স্টান্ট অভিনেত্রী হিসেবে গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বলিউডের একজন সমাদৃত নারীর নাম ’নির্ভীক নাদিয়া’। অস্ট্রেলিয়ান এই নারীর আসল নাম ‘মেরি এ্যান ইভান্স’।
মূলত ভারতীয় চলচ্চিত্রে নাম করতে একজন মার্কিন গণকের উপদেশে নিজের নাম রাখেন নাদিয়া। পরবর্তীতে তার সুচারু স্টান্টের জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে ‘ফিয়ারলেস নাদিয়া’ নামে সমাদৃত হয়েছেন তিনি।
বলিউডে নারী স্টান্টদের অন্যতম পথিকৃত মেরি অ্যান যখন ভারতে পাড়ি জমান তখন বয়স মাত্র ৫ বছর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় পিতার মৃত্যুর পর সপরিবারে পেশোয়ারে চলে যায় মেরি। সেখানে দড়ির উপর হাঁটার কৌশল, ঘোড়দৌড়, পশু শিকার ভালোভাবে রপ্ত করে ১৯২৮ সালে ফেরেন মুম্বাইতে। যোগ দেন একটি ডান্স ট্রুপে।
নাদিয়া নামে ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রের স্টান্ট অভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে হান্টারওয়ালী চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্টান্ট আর অভিনয় একসাথে করার জন্য তিনি বলিউডের টু ইন ওয়ান প্যাকেজে পরিণত হন। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রেঙ্গুন চলচ্চিত্রটি তার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত।
আজ এই নির্ভীক অভিনেত্রীর ১১০তম জন্মদিন। চলচ্চিত্রে তার অর্জন আর অবদানে স্বীকৃতি হিসেবে আজ গুগল ডুলড উৎসর্গ করেছে মেরী এ্যান ইভান্সের নামে।
Leave a reply