ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনয়শিল্পী শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, সত্যি, আমার লিখতে আর কোনো দ্বিধা নেই যে মানুষের মতো নিকৃষ্ট জীব আর এই পৃথিবীতে নেই। কেউ আমায় ‘মানুষের বাচ্চা’ বললে আজ সবচেয়ে খারাপ লাগে। ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললে খুশি হব এখন। ঘেন্না করে মানুষ দেখে।
বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বেশ কিছু দিন আগে লকডাউনের সময় রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে অপমানিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই সময় এক ভিডিওবার্তায় শ্রীলেখা দুঃখ প্রকাশ করে কান্নাও করেছিলেন।
কিন্তু তার পরও কুকুর খাওয়ানো বন্ধ করেননি শ্রীলেখা। বরং নিজের ফ্ল্যাটে কুকুরের সঙ্গেই বসবাস করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে শ্রীলেখা বলেন, লকডাউনের সময় সকালে প্রথম কাজ, কুকুরের পাত্র পরিষ্কার। এখন তো বাড়িতে তিনজন আছে। করণ কুমার মিত্র, আদর মিত্র আর চিন্তামণি মিত্র। ওরা আমার সঙ্গে আছে বলে যে এত ঝামেলায় পড়তে হবে কোনো দিন ভাবিনি।
তিনি বলেন, বাইরের কুকুরগুলোকে খাওয়ানো নিয়ে যা হলো ফ্ল্যাটের লোকের সঙ্গে! আমি ক্লান্ত! রাস্তার কুকুরগুলোকে ফ্ল্যাটের মধ্যে এনে খাওয়াচ্ছিলাম বলে মানুষের কি রাগ!
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এই যে সব সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন লকডাউনের সময় নিজেদের পুরনো ছবি দিচ্ছে, শাড়ি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। নিজেরা ভালোমন্দ খাচ্ছে আর দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ছে। কারা এরা? নিজেরা কাকে কী সাহায্য করছে? অশিক্ষিত দেশ তো মৃত্যুর সময় দীপাবলি করে। এই মানুষ জাতিকে নিয়ে আর কোনো প্রত্যাশা নেই আমার।
শ্রীলেখা বলেন, আমার মেয়ে বলে, ‘মা এসব বলো না।’ আমার বাবা আর ভাই তো বলছিল– ‘তুই কুকুরগুলোর জন্য ফ্ল্যাটের সব লোকের সঙ্গে লড়ছিস? তুই শুধু ঠিক ওরা ভুল?’ পরে ওরা আমার ভিডিও দেখে লিখেছে, ‘তোকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে।’ ‘মানুষ যেখানে কুকুরকে রেপ করছে, সেই মানুষের পৃথিবীতে আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। কুকুর, শুয়োর এরা মানুষের চেয়ে ঢের ভালো। আমি রেগে আছি। খারাপ আছি। আমি অবসর নেব এবার।’
শ্রীলেখা বলেন, ইন্ডাস্ট্রির লোকেদেরও আমার খুব ভালো করে চেনা হয়ে গেছে। আমি কোনো লবিতে নেই। আমি তাও কেন এত গলা তুলে কথা বলি? লোকে পছন্দ করে না সেটি। যদি মাথা নোয়াতাম, খারাপ থাকতাম, তা হলে কমপ্লেক্সের লোক থেকে ইন্ডাস্ট্রি সবাই খুশি হতো। ফেক ইন্ডাস্ট্রির, ফেকু লোকদের থেকে দূরে থাকতে চাই। এই পৃথিবীতে আর বাঁচতে চাই না…
Leave a reply