শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
মৃত্যুর দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পর আইসোলেশনে রাখা সেই ব্যক্তির সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ৬ ব্যক্তি সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এলাকায় নিয়ে যায়। মৃতদেহ নেয়ার সময় মৃত ব্যক্তির মা ছাড়া অন্য স্বজনদের দেখা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনির আহমেদ খান।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিটি উপজেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সৎকারের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা করোনা সন্দেহে অথবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নে এই কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, ঘটনাটি জানার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ওই মৃতের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের প্রশান্ত কর্মকার শরীয়তপুর হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন। শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা সন্দেহে ওই যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন চিকিৎসকরা। বুধবার পৌনে চারটার দিকে ওই ব্যক্তি মারা যান।
মৃত্যুর ২১ ঘন্টা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির মৃতদেহ সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পরে থাকলেও কেউ নিতে আসেন। করোনা সন্দেহে সৎকারে রাজি হয়নি কেউই। স্বজনদের মধ্যে পাশে ছিলেন শুধুমাত্র মৃত যুবকের মা।
Leave a reply