পশুখাদ্য মামলায় বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এখন কারাগারে। সেখানে, বাগান পরিচর্যার কাজ দেওয়া হয়েছে লালুজিকে। অবশ্য, এজন্য লালু প্রসাদকে পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে। দিন প্রতি ৯৩ রুপি করে পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। এরইমধ্যে,ঘটে গেছে আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। ভাইয়ের কারাগারে যাওয়ার শোক সামলাতে না পেরে মারা গেছেন লালুর বোন গঙ্গোত্রি দেবী।
পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি নিয়ে বিহারের সিবিআই আদালতে বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এরমধ্যে একটি মামলায় রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত লালুকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির বিরসা মুন্ডা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন তিনি।
অবশ্য এমন পরিস্থিতিও খুব বেশি টলাতে পারেনি লালুকে। টুইট করেছেন, কোনো চাপের মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে সরে যাবেন না। অনগ্রসর ও দলিত শ্রেণির মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, লালুর পরিবারের এক সদস্যের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, লালুর বোন গঙ্গোত্রি ভাইয়ের কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। শোক সামলাতে না পেরে মারাই গেছেন তিনি।’
সত্তরোর্ধ্ব গঙ্গোত্রি দেবী ২০১০ সালে স্বামীকে হারিয়েছেন, ২০১৬ সালে হারিয়েছেন সন্তানকে। পাটনা ভেটেনারি কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। ১৯৯০ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত সন্তানদের নিয়ে এই কোয়ার্টারেই থাকতেন লালু প্রসাদ যাদব। গ্র্যাজুয়েশনের পর এই ভেটেনারি কলেজেই করতেন ক্লার্কের চাকরি।
বোঝাই যাচ্ছে সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্মাননি তিনি। কারাগারে মালির কাজও হয়তো সহজে মেনে নিতে পারবেন। বোন হারানোর শোকটাই বরং বেশি করে পোড়ানোর কথা লালুকে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply