কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষকের হাতে এক অভিভাবককে বর্বর কায়দায় লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের ঘটনা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে সারাদেশে আলোচিত। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষের বক্তব্য বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধসহ একাধিক কারণ। অভিযুক্ত শিক্ষক এবং ভুক্তভোগী অভিভাবক দুষছেন একে অপরকে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
ভুক্তভোগী অভিভাবক আয়াতুল্লাহর দাবি, সন্তানের খারাপ ফলাফল ও স্কুলের বাড়তি ফি’র বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে নির্যাতন করা হয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলছেন, ওই অভিভাবক প্রায়ই নানা ইস্যুতে তাদের নাজেহালের চেষ্টা করতেন।
নির্যাতনের শিকার অভিভাবক বলেন, ‘ওই স্কুলে এ বছর বেতন ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২৫০ টাকা আর ভর্তি ফি ৪০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে শাহরিয়ারকে রোববার সকালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করাতে নিয়ে যাই। এ সময় বেতন-ফি বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন।’
এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বোরহানউদ্দিন কয়েকজনকে ফোন করেন বলে জানান আয়াতুল্লাহ। এরপর তাকে মারধর করা হয়।
খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক, ‘ভর্তি ফি ও বেতন বৃদ্ধি নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আয়াতুল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় আমার স্কুলের ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে আয়াতুল্লাহকে বেঁধে মারধর করে।’
জানা গেছে, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর জের ধরেই এক পক্ষ অন্যপক্ষকে কোনঠাসা করতে বিভিন্ন সময় নানা ধরণের অপকৌশল গ্রহণ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিন শিক্ষককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply