করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢাকার কর্মস্থল থেকে পালিয়ে বগুড়ার ধুনটের বেলকুচি মধ্যপাড়ায় বাপের বাড়িতে এসেও নিজেকে গোপন করতে পারলেন না নার্স বিউটি আকতার আশা।
প্রতিবেশীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়ায় জনপ্রতিনিধির অনুরোধে উপজেলা প্রশাসন শুক্রবার তাদের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে। এ ছাড়া বাড়ির সামনে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে।
ওই সব বাড়ির সদস্যরা যাতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না পারেন সে জন্য রাস্তায় বেড়া দিয়ে গ্রাম পুলিশ তাদের প্রতি নজরদারি করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেলকুচি মধ্যপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের মেয়ে নার্স আশার কিছুদিন আগে বিয়ে হয়েছে। তিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে তিনি ওই ক্লিনিক থেকে পালিয়ে খুব গোপনে গত বুধবার রাত ২টার দিকে বাপের বাড়ি আসেন।
তিনি বৃহস্পতিবার আশপাশের চার আত্মীয় বাড়িতে যাতায়াত করেন। প্রতিবেশীরা টের পেলে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল মিয়া জানান, তিনি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতে যান। নিশ্চিত হওয়ার পর ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানাকে জানান। শুক্রবার তিনি নার্স আশা ও স্বজনদের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান, ওই সব বাড়ির সামনে পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বাড়িতে প্রবেশের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। পাহারায় থাকা দু’জন গ্রাম পুলিশ নজরদারি করছেন।
শনিবার সকালে চিকিৎসক ওই নার্সের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা এ সম্পর্কে কিছু জানেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a reply