পুরো বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত, তখন কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো পঙ্গপাল ঠেকাতে নাকাল। কিছুদিনের ব্যবধানেই, দ্বিতীয় দফা পতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিলো, অঞ্চলটিতে। নষ্ট হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল। কোভিড নাইনটিন বিরোধী পদক্ষেপ আরও কঠিন করে তুলেছে পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াইকে।
কেনিয়ায় কোভিড নাইনটিন মহামারী আকারে না ছড়ালেও, সতর্কতা হিসেবে সীমান্ত বন্ধ, কারফিউসহ জারি হয়েছে নানা কড়াকড়ি। এসব পদক্ষেপ নিতে গিয়ে, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পঙ্গপাল নির্মূলের তৎপরতা। ৭ দশকে পতঙ্গের এমন ভয়াবহ আক্রমণ দেখা যায়নি দেশটিতে।
এফএও প্রকল্প কর্মকর্তা অ্যামব্রোস নেটি বলেন, কোভিড নাইনটিন ঠেকাতে কড়াকড়ি অবশ্যই প্রয়োজন। তবে সমস্যা হল পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা পুরোপুরি কার্যকর করা যাচ্ছে না এখন।
গেল বছরের শেষদিক থেকেই কেনিয়া, ইথিওপিয়া, সুদান, সোমালিয়া, ইরিত্রিয়াসহ কয়েকটি দেশে প্রকোপ দেখা দেয় পঙ্গপালের। এরইমধ্যে লাখ লাখ একর জমির ফসল নষ্ট করেছে পতঙ্গের দল। পঙ্গপাল-নির্মুল কার্যক্রমের গতি কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা। ক্ষুদ্র চাষীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ।
একদিকে করোনার চোখরাঙানি, অন্যদিকে পঙ্গপালের আক্রমণ। দুইয়ে মিলে, কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে পঙ্গপালের প্রথম দফা আক্রমণের সময়ই, দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেয় জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, দ্বিতীয় দফায় পূর্ব আফ্রিকায় পতঙ্গের যে দলটি হামলা করেছে, আগের চেয়ে তা ২০ গুণ বড়।
Leave a reply