ঢাকায় দু’দিনে ৩০০ বাড়ি লকডাউন

|

করোনা রোগী শনাক্ত হলেই ওই বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করা হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রায় ৩০০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, রোগী শনাক্ত হওয়ায় বংশালের ৪৩ আলী নেকির দেউড়িতে ১১টি বাড়ি, ২৩১ বংশাল রোডে ২ শতাধিক বাড়ি এবং ২/৩২ টেকেরহাট লেনে ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

অপরদিকে রমনা জোনের এডিসি আবদুল্লাহেল কাফি জানান, হাজারীবাগের একটি বাড়িতে করোনা রোগী পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ওই এলাকার দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। তিনি জানান, করোনা রোগী দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে এলাকায় তার সন্ধানে মাইকিং করা হয়। একপর্যায়ে তিনি আবার বাসায় ফিরে এলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। এদিকে কদমতলীর শনিরআখড়ায় ৫টি বাড়ি শুক্রবার লকডাউন করা হয়েছে।

শনিরআখড়ার রেনেসা গলিতে একটি ভবনে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর শুক্রবার এ গলিটিই লকডাউন করে দেয়া হয়। এ গলিতে ৬০টি পরিবার বাস করে।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, আইইডিসিআরের পরামর্শে করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির পরিবারটি যে ভবনে থাকে সেই ভবনসহ ৫টি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। আমরা বাসায় বাসায় গিয়ে এ এলাকার মানুষকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে এসেছি।

মিরপুরের পল্লবীতে এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় দুটি ভবন লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের পল্লবীতে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় দুটি ভবন লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের পরামর্শে এ বাড়ি দুটি লকডাউন করা হয়।

এদিকে শুক্রবার বিকালে গুলশান থানার শাহজাদপুরের খ-ব্লকের ৩২/৪ নম্বর বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাড়িটি লকডাউন করা হয় বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply