করোনাভাইরাসের উৎসভূমি উহান থেকে আড়াই মাসের লকডাউন উঠে যাওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে বিয়ের উৎসব। বিয়ে সম্পাদনের জন্য তৈরি অ্যালিপে অ্যাপে আগের তুলনায় ৩০০ শতাংশ গুণ বিয়ের আবেদন জমা পড়েছে। এমনকি বিয়ের আবেদনের চাপে অ্যাপটি সাময়িকভাবে বিকল হয়ে পড়ে। চীনের হুবেই প্রদেশের ওয়াচাং জেলার বিবাহ নিবন্ধন হলে গত বুধবার বিয়ে করেন জউ ওয়েই ও হু জিনপেং। মাত্র ১৫ মিনেটের এ কর্মকাণ্ডে ছিল না কোনো ভিডিওম্যান বা ক্যামেরাম্যান। করোনা ঝুঁকির মধ্যে ভিড় এড়াতে নিজেদের স্মার্টফোনেই স্মৃতিবন্দি করেছেন তারা। খবর সিনহুয়ার।
অ্যালিপে কোম্পানি বলছে, ‘উহানের বিয়ের আবেদনের অ্যাপ আশাতীতভাবে বেশিবার ভিজিট করা হয়েছে। যার ফলে অ্যাপটি সাময়িকভাবে থমকে যায়। সিস্টেম ভেঙে না পড়লেও খুব ধীর হয়ে যায়। সেটি রিফ্রেশ করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়।’ উহানে করোনায় মৃত্যুমিছিলের জেরে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কোনো বিয়ে হয়নি। বিয়ের আবেদন নেয়া বন্ধ করা হয়। দীর্ঘ ৭৬ দিনের হাহাকার কাটিয়ে যুগলরা যাতে সবচেয়ে রোম্যান্টিক পথে প্রেম করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে আবেদনের সঙ্গে বর-কনেদের করোনামুক্তির সার্টিফিকেট পেশ করতে হবে। চীনে বিখ্যাত অ্যালিপে অ্যাপের দাবি, ‘আগে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনই বেশি ছিল, তবে তা ছাপিয়ে এই পরিমাণে বিয়ের আবেদন জমা পড়বে- এমনটা ভাবা যায়নি।’
ওয়াচাং জেলার বিবাহ নিবন্ধ কার্যালয় জানায়, ‘এখন কিছু নিয়ম মেনেই বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। ভবনে ঢোকার আগে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। নব দম্পতিদের পরানো হচ্ছে একবার ব্যবহারযোগ্য গ্লাভস। চেহারা শনাক্তকরণ ডিভাইস দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। পায়ের জুতাও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে বিশুদ্ধ করা হচ্ছে। মাত্র ১৫ মিনেটেই বিয়ের সব আয়োজন শেষ করা হচ্ছে।’ সর্বোচ্চ ২০টি যুগলকে একদিনে বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানায় ওই বিবাহ নিবন্ধন কার্যালয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে জানুয়ারিতে প্রেম শুরু করেন জউ ওয়েই ও হু জিনপেং। উহানের পাশে শিয়াওগান শহরের বাসিন্দা জউ বলেন, লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার সময় আমরা ভিডিওকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেছি। রাজধানী বেইজিংয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন জিনপেং। বুধবার তারা বিয়ে করেন।
Leave a reply