বাসার কাজের বুয়াও ডাক্তারের চেয়ে বেশি সম্মানের সাথে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন কুয়েত মৈত্রীর বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা) শারমিন হোসেন। করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে অনীহার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটার আমার একার কলঙ্ক বলে মনে করি না, এটা ডাক্তার সমাজের কলঙ্ক। গোটা ডাক্তার সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
রোববার ফেসবুক লাইভে এসে শারমিন হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নাম পাঠিয়েছেন যে আমি নাকি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ইচ্ছুক না। এমন কথা আমি মৌখিক বা লিখিতভাবে কখনো স্যারের কাছে অথবা কারও কাছে প্রকাশ করেছি বলে আমার জানা নেই।
১ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাতের ডিউটি করে বাসায় ফিরি। এক দিন পর জানতে পারি আমি নাকি বরখাস্ত। আমি আমার স্যারের কাছে গেলাম উনাকে জিজ্ঞেস করলাম আমি তো ৮ তারিখে সকালে গেলাম। আমি কি কখনো বলেছি আমি চিকিৎসা দিতে অনিচ্ছুক। উনি বললেন এটা ভুলে হয়েছে। আমাকে কোনো ফরওয়ার্ডিং দিলেন না। বললেন আমার একটা ফোনই যথেষ্ট।
শারমিন হোসেন তার হাজিরা খাতার অনুলিপি নিয়ে আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. বেলাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন বলেও জানান। কর্মক্ষেত্রে সম্মান নেই উল্লেখ করে শারমিন বলেন, বাসার বুয়াকে বিদায় করার আগেও তো একশবার চিন্তা করি। বাসার বুয়াও আমার চেয়ে সম্মানের সাথে কাজ করে। এটার আমার একার কলঙ্ক বলে মনে করি না, এটা ডাক্তার সমাজের কলঙ্ক। গোটা ডাক্তার সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা।
Leave a reply