যুক্তরাষ্ট্রে করোনা চিকিৎসায়ও বর্ণ বৈষম্য!

|

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপের মধ্যে স্পষ্ট হচ্ছে, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য। কোভিড নাইনটিন মহামারীর বড় শিকার দেশটির আফ্রো-আমেরিকান জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ হলেও, বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যেই আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বেশি তারা। অভিযোগ উঠেছে, ঐতিহাসিকভাবে বৈষম্যের শিকার কৃষ্ণাঙ্গদের স্বাস্থ্যসেবা আজও অবহেলিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রে।

প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার শিকাগোতে ৩০ শতাংশ আফ্রো-আমেরিকান। অথচ শহরটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ৫২ শতাংশই এ গোষ্ঠীটির। আর মৃতদের ৬৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে শিকাগোয় কোভিড নাইনটিন আক্রান্ত শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার ৬ গুণ বেশি।

স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা বেশি থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত কৃষ্ণাঙ্গরা। এসব এলাকার হাসপাতালগুলোতেও সরকারি অনুদান বরাবরই কম ঘনবসতি, জীবনযাত্রার নিম্নমান, আর দারিদ্র্য এ অঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়েছে বহুগুণ।

কেবল শিকাগো নয়, ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বেশির ভাগ শহরেই কোভিড নাইনটিনের বড় শিকার কৃষ্ণাঙ্গরা। বেহালদশা অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও।

এই মুহুর্তে দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের ৩৩ শতাংশই অ্যাফ্রো আমেরিকান।খোদ হোয়াইট হাউজের তরফ থেকেই স্বীকার করা হয়েছে এ তথ্য। দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে কৃষ্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স এর সদস্য ডা. অ্যান্থনি ফসি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এ মুহূর্তে সবকিছু পরিবর্তন তো সম্ভব নয়। তবে আমরা সবাইকে জরুরি স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ আর বৈষম্যের বহু পুরনো যে ইতিহাস, করোনার বিস্তারে তা স্পষ্ট হয়েছে আরও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply