নড়াইলে জ্বর শাসকষ্ট নিয়ে নারীর মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

|

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফাতেমা বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে তার মৃত্যু হলে রাতেই তার দাফন করা হয়েছে।

শালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান তসরুল আলম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর ঘটনাটি তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি দল ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল বাতাসী গ্রামে যেয়ে মৃতার নমুনা সংগ্রহ করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধা কয়েকদিন আগে তার মেয়ে সুলতানার আশুলিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে আসেন। অপর দিকে ওই বৃদ্ধার নিকট আত্মীয়রা বলছেন, বৃদ্ধার আগে থেকেই ডায়াবেটিস ছিল। তিনি করোনায় নয়, ডায়াবেটিস ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ওই বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন।

এদিকে নড়াইলের লোহাগড়ায় করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকায় দুইটি বাড়িসহ মোট ছয়টি বাড়ী লক ডাউন করেছে লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসন। রবিবার বিকালে ছয়টি বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে এ লক ডাউন করা হয়।

লোহাগড়া উপজেলা ও থানা সুত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামের মৃত কাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান পিটু কাজী ঢাকায় একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতো এবং পল্লবীতে বসবাস করেন। তিনি ঢাকা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গোপনে লোহাগড়া পৌরসভার ৭ ওয়ার্ডের রাজুপুরে তার দুলাভাই দোকানদার আকতার হোসেনের বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে পিটু কাজী রাজুপুর তার শ্বশুর মৃত শফিউদ্দিনের বাড়িতেও অবস্থান করে। পরে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পিটু কাজী গোপনে ঢাকায় চলে যায়। পিটু কাজী বর্তমান ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে রবিবার বিকালে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার রাখী ব্যানার্জীসহ প্রশাসনের লোকজন পিটু কাজীর দুলাভাই আকতার হোসেন, শ্বশুর শফিউদ্দিনের বাড়িসহ সংর্স্পশে থাকা ছয়টি বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে লক ডাউন ঘোষণা করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply