সিভিল সার্জন অফিস ও পুলিশী তৎপরতা না থাকায় গাজীপুর জেলা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। গতকাল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার এক অফিসার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ঐ থানায় কর্মরত আরও ১৫ পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ১৩ কর্মকর্তা কর্মচারীর সবাই রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। লকডাউনের কারণে সবগুলো ব্যাংক শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোন সরকারী কর্মকর্তা অফিসে আসছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ঢাকায় অবস্থান করছেন। সরকারী কর্মকর্তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই সুযোগে, অলি-গলি পাড়া মহল্লায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির চিহ্ন মাত্র নেই। শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানগুলো ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট কমবেশী খোলা।
হাট বাজারগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। সিভিল সার্জন অফিস ও পুলিশী তৎপরতা না থাকার সুযোগে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত মানুষ রয়েছে প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। ফলে গাজীপুর জেলা রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় ৩৫ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। নতুন প্রবাস ফেরত ২৫৩ জনসহ ৭৬৭ জন রয়েছেন হোম কোয়োন্টোইনে।
Leave a reply